রাজশাহী ইউনিভার্সিটি সেন্ট্রাল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে শহীদ বুদ্ধিজীবী ডঃ শামসুজ্জোহার স্মরণে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজ মিলনায়তনে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব আলী খানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় আলোচক ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু এম পি, সংসদ সদস্য আমিরুল ইসলাম মিলন, সাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম, ছড়াকার আনজীর লিটন, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা, আইয়ুব আলী খান, উপাধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ, ফাত্তাহ তানভীর রানাসহ রাকসুর সাবেক নেতারা।
অনুষ্ঠানে আগত বক্তারা বরাবরের মতোই ড. জোহা দিবসকে জাতীয় শিক্ষক দিবস ঘোষণার দাবি জানান। এ দাবির পক্ষে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও অনেকেই উপস্থাপন করেন।
শহীদ বুদ্ধিজীবী ড. শামসুজ্জোহার মতো আত্মত্যাগী শিক্ষককে হারানো দেশ ও জাতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি বলে মন্তব্য করেছেন অনুষ্ঠানে আগত বক্তারা। আজকের দিনের শিক্ষকদের শামসুজ্জোহার আদর্শে অনুপ্রাণিত হওয়া উচিত বলে বক্তারা মনে করেন ।
১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে শামসুজ্জোহা পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে সর্বপ্রথম শহীদ হন। এরপর থেকে দিনটি ড. জোহা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং রসায়ন বিভাগের তৎকালীন রিডার (সহযোগী অধ্যাপক) ছিলেন। তাঁর আরও একটি পরিচয় হলো, তিনি ছিলেন একজন ভাষাসৈনিক।
তাঁর মৃত্যু ১৯৬৯–এর গণ-অভ্যুত্থানকে প্রভাবিত করে এবং আইয়ুববিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করে। আইয়ুব খান সরকারের পতনের পেছনে তাঁর মৃত্যুকে অন্যতম কারণ মনে করা হয়।
ড. জোহার মৃত্যুর ঘটনা সেই সময় দেশের চলমান মুক্তির সংগ্রামে নতুনত্ব যোগ করেছিল। ফলে তৎকালীন সরকার নিরুপায় হয়ে রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে বাধ্য হন।
fattahtanvir@gmail.com